🇮🇳🇵🇰 অপারেশন সিন্ধু ২০২৫: ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির পর্দার আড়ালের সত্য

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে ঘটে যাওয়া একটি ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ফলে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে আবার উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এই ঘটনায় ২৬ জন হিন্দু পর্যটক নিহত হন। ভারত সরকার অভিযোগ তোলে যে, পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা এই হামলার সঙ্গে যুক্ত। এর ফলে গোটা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং সরকার সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিরোধ - অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস

◆ ভারতের প্রতিক্রিয়া: অপারেশন সিন্ধুর

৭ মে ভোরে ভারতীয় বিমান বাহিনী "অপারেশন সিন্ধুর" নামে একটি পাল্টা অভিযান চালায়। আধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান ও ব্রহ্মোস সুপারসনিক মিসাইলের মাধ্যমে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘাঁটি লক্ষ্য করে টার্গেটেড স্ট্রাইক চালানো হয়। বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের কিছু ঘাঁটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়। পাকিস্তানি সূত্র মতে, এই অভিযানে ১৩০+ সৈন্য ও ১৭ জন জঙ্গি নিহত হন।

◆ পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত: অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস

পরদিনই পাকিস্তান প্রতিশোধমূলক হামলা চালায়। তারা ভারতের রাজস্থান ও জম্মু সীমান্তে বহু ড্রোন এবং রকেট হামলা করে। এই অভিযানে ৪৬ জন ভারতীয় সৈন্য শহীদ হন ও ২১ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন। পাকিস্তান এই অভিযানের নাম দেয় “অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস”। তাদের দাবি অনুযায়ী, ভারতের তিনটি সেনা ফাঁড়িতে বড়সড় ক্ষতি হয়।

◆ সীমান্ত সংঘর্ষ ও কৌশলগত অবস্থান

পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা উভয় দেশ থেকেই সীমান্তে গোলাগুলি, ড্রোন হানা, এবং হ্যাকিং আক্রমণের খবর পাওয়া যায়। ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্তে ‘স্মার্ট সেন্সর সিস্টেম’ ব্যবহার করে পাকিস্তানি ড্রোনগুলিকে ভূপাতিত করে। এছাড়া ভারতের নৌবাহিনীও আরব সাগরে সতর্ক অবস্থান নেয়। পাকিস্তানও তার বিমান বাহিনী ও রাডার ইউনিটগুলোকে সর্বোচ্চ সতর্কতায় রাখে।

◆ আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও মধ্যস্থতা

এই সংঘর্ষ ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। জাতিসংঘ, আমেরিকা, রাশিয়া এবং চীন—সবাই দুই দেশকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানায়। অবশেষে ১০ মে, মার্কিন মধ্যস্থতায় একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায় উভয় পক্ষ। যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ২২০ সৈন্য এবং ৫৪ জন বেসামরিক নাগরিক।

◆ অর্থনৈতিক প্রভাব ও ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা

এই সংঘর্ষে ভারতের সেনসেক্স পড়ে যায় প্রায় ৮৮০ পয়েন্ট। রুপির মান দুর্বল হয় এবং পেট্রোলের দাম হঠাৎ বেড়ে যায়। পাকিস্তানেও খাদ্য সরবরাহ ও জ্বালানির ওপর বড়সড় প্রভাব পড়ে। যুদ্ধের এই নতুন ধারা—যেখানে ড্রোন, এআই, এবং সাইবার আক্রমণ মূখ্য হয়ে উঠেছে—ভবিষ্যতের জন্য একটি সতর্ক সংকেত।

পাহালগাম হামলা ২০২৫

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন