সুনিতা উইলিয়ামস একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নভোচারী যিনি নাসার হয়ে মহাকাশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা ও অভিযান পরিচালনা করেছেন। তার মহাকাশ গবেষণার উল্লেখযোগ্য দিকগুলি -
সুনিতা উইলিয়ামসের পরিচিতি
পুরো নাম: সুনিতা লিন পাণ্ড্য উইলিয়ামস
জন্ম: ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫, ওহাইও, যুক্তরাষ্ট্র
বংশগত পরিচয়: তার পিতা ভারতীয় (গুজরাটি) এবং মা স্লোভেনীয় বংশোদ্ভূত।
পেশা: নাসার নভোচারী এবং যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর কর্মকর্তা
মহাকাশ অভিযানের সংক্ষিপ্ত বিবরণ
সুনিতা উইলিয়ামস দুইবার মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছেন এবং তিনি দীর্ঘ সময় মহাকাশে কাটিয়ে বিভিন্ন গবেষণা পরিচালনা করেছেন।
1. Expedition 14/15 (ডিসেম্বর ২০০৬ - জুন ২০০৭)
মিশনের নাম: STS-116 (Expedition 14) এবং STS-117 (Expedition 15)
মহাকাশে অবস্থান: ১৯৫ দিন (প্রথম মিশনে মহাকাশে দীর্ঘতম সময় কাটানোর জন্য নারী নভোচারী হিসেবে রেকর্ড করেছিলেন)
গবেষণা কার্যক্রম:
মহাকাশে বিভিন্ন জৈবিক ও প্রযুক্তিগত গবেষণা
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (ISS) রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন
স্পেসওয়াক (Spacewalk): ৪টি স্পেসওয়াক সম্পন্ন করেন, যার মোট সময় ২৯ ঘণ্টা ১৭ মিনিট
---
2. Expedition 32/33 (জুলাই ২০১২ - নভেম্বর ২০১২)
মিশনের নাম: Soyuz TMA-05M (Expedition 32/33)
মহাকাশে অবস্থান: ১২৭ দিন
গবেষণা কার্যক্রম:
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে বিভিন্ন পরীক্ষামূলক গবেষণা পরিচালনা
জৈবপ্রযুক্তি, চিকিৎসাবিজ্ঞান ও পদার্থবিজ্ঞানের ওপর গবেষণা
স্পেসওয়াক: এই মিশনেও তিনি স্পেসওয়াক করেন, যার মোট সময় ৫০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট
রেকর্ড ও অর্জন
A. মহাকাশে দীর্ঘতম সময় অবস্থানকারী নারী নভোচারী (১৯৫ দিন, প্রথম মিশনে)
B. সর্বাধিক স্পেসওয়াক করা নারী নভোচারী হিসেবে রেকর্ড (৭ বার, মোট ৫০ ঘণ্টা ৪০ মিনিট)
C. আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী দ্বিতীয় নারী
গবেষণার মূল বিষয়বস্তু
*মানবদেহে মহাকাশের প্রভাব: মহাকাশে দীর্ঘদিন অবস্থানের ফলে শরীরে কী ধরনের পরিবর্তন হয়, তার ওপর গবেষণা করেছেন।
অভ্যন্তরীণ মহাকাশ স্টেশনের রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন।
জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন পরীক্ষা।
সুনিতা উইলিয়ামসের অনুপ্রেরণামূলক দিক
তিনি বৈশ্বিক পর্যায়ে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের গর্বিত করেছেন।
তার অধ্যবসায়, পরিশ্রম ও বৈজ্ঞানিক কৃতিত্ব বিশ্বজুড়ে নারী ও বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস।
আপনার যদি তার জীবনের আরও নির্দিষ্ট কোনো দিক বা গবেষণা সম্পর্কে জানতে চান, জানাবেন!
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন